ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঐতিহ্যবাহী করটিয়া হাটে রাজস্ব বেড়েছে কোটি টাকা 

ঐতিহ্যবাহী করটিয়া হাটে রাজস্ব বেড়েছে কোটি টাকা 

টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী করটিয়া হাটের সিন্ডিকেট ভেঙে পড়ায় ইজারা মূল্য বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে জেলার বৃহত্তর এ হাট থেকে সরকার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব পাচ্ছে।

জানাগেছে, টাঙ্গাইলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা করটিয়া হাটকে কেন্দ্র করে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। এতে করটিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাকে যুক্তকরা হয়। ফলে বিগত বছরগুলোতে অধিকাংশ ইজারাদাররা হাট ডেকে নিতে বা দরপত্র দাখিল করতে পারেনি। এতে সরকার বছরের পর বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতে থাকে। সিন্ডিকেটের কারণে এ হাটের ইজারা মূল্য বছরে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৬ ভাগ হারেও বাড়েনি। এ বছর স্থানীয় প্রভাবশালী এক নেতা বছরের শুরু থেকে এ সিন্ডিকেট ভাঙায় তৎপরতা চালান। নয়া জেলা প্রশাসক হিসেবে জসীম উদ্দীন হায়দার টাঙ্গাইলে যোগদান করায় তা আরও ত্বরান্বিত হয়। জেলা প্রশাসক স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সিন্ডিকেট ভাঙায় সক্রিয় হন। ফলে করটিয়া কাপড়ের হাটের সেই অলিখিত সিন্ডিকেট ভেঙে যায়। এ বছর মেসার্স মাইসা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুই কোটি ২৩ লাখ টাকায় হাটটি ডেকে নিয়েছে। অথচ গত বছর ইজারা মূল্য ছিল এক কোটি ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ১০৭ টাকা।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে গত ৮ ফেব্রæয়ারি ঐতিহ্যবাহী করটিয়া হাটসহ ১৮ হাট-বাজারের দরপত্র আহŸান করা হয়। সিন্ডিকেট ভাঙার ফলে এ বছর করটিয়া হাট ইজারা নেওয়ার জন্য দশটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়। গত ২৮ ফেব্রæয়ারি দরপত্র খোলার শেষ দিনে দরপত্র খোলা হলে দেখা যায়, মাইশা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দুই কোটি ২৩ লাখ টাকায় দরপত্র দাখিল করেছে। যা গত বছরের ইজারা মূল্যের চেয়ে কোটি টাকা বেশি। বিগত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে স্থানীয় প্রশাসন।

মেসার্স মাইসা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আকাশ উজ্জামান জানান, এ বছর উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দশটি প্রতিষ্ঠান ইজারায় অংশ নেয়। সর্বোচ্চ দর দিয়ে তার প্রতিষ্ঠান করটিয়া হাটের ইজারা এক বছরের জন্য পেয়েছে। তিনি হাটে আসা সকল ধরণের ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে হাটটি সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন। এ বিষয়ে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রানুয়ারা খাতুন জানান, বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। কারণ সরকার এ বছর করটিয়া হাট থেকে এক কোটি টাকার বেশি রাজস্ব পাবে। দরদাতাদের প্রতিযোগিতার কারণে হাট-বাজারের ইজারা দর আরও বেড়ে যায়। তবে সমস্যা হচ্ছে- অনেক সময় ইজাদাররা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়ার পরও নির্ধারিত সময়ে টাকা জমা না দেওয়ায় দ্বিতীয় দরদাতাকে ইজারা দিতে হয়।

টাঙ্গাইল,করটিয়া হাট,রাজস্ব
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত